তাড়হুড়ো করবেন না। শান্তিতে ছটপুজো করুন। রাতের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই চিন্তার কিছু নেই। তক্তাঘাট ও দইঘাটে ছটপুজোর প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ছটপুজো উপলক্ষ্যে এলাহি আয়োজন করেছে কলকাতা পুরসভা। পুজোর জন্য তৈরি রাখা হয়েছে শহরের ১৩২টি ঘাট ও ৩৬টি কৃত্তিম জলাশয়। আজ বুধবার বিকেল চারটে থেকে বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে চক্ররেল পরিষেবা। রবীন্দ্র সরোবরে এবার ছটপুজো হবে না। সাফ জানিয়েছেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। সরোবর যাতে দুষিত না হয় তার জন্য বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার তক্তাঘাটে ছটপুজোর প্রস্তুতি দেখতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এক অনুষ্টানে মমতা বলেন, এখানে ছটপুজোর যারা আয়োজন করেছেন তাদের ধন্যবাদ। প্রতিবারই এখানে এসে সবাইকে অভিনন্দন জানাই। এবারও এসেছি। যারা রাস্তায় নেমে ছট পালন করছেন এবাং যারা ঘরে থেকে তা পালন করছেন তাদের সাবাইকে অভিনন্দন।  প্রতি বছর এই পুজো বেড়ে চলেছে। কোভিড বিধি মেনে আজ ও কাল ছট পুজোয় সবাই অংশ নিন। সাবধানে ঘাটে যান পুজো দিন। সুস্থ থাকুন, শান্তিতে পুজো করুন। গঙ্গা মায়ের আরাধনা করুন। গঙ্গা মা সবার কল্যাণ করুন। সবাইকে ছট পুজো শুভকামনা জানাচ্ছি। পুলিসকে বলেছি সবাইকে সতর্ক করুন। হেস্টিংয়ে যেমন মাইকিং করা হচ্ছে গঙ্গার সব ঘাটে যেন তা করা হয়। সবাইকে বলুন, শান্তিতে পুজো করুন। ছট পুজোয় এলে ভালো লাগে। তাই প্রতি বছরই আসি।

তক্তাঘাটের পাশাপাশি দইঘাটেও যান মুখ্যমন্ত্রী। এখানে তিনি বলেন, আজ নয়, যাদবপুরের যখন এমপি ছিলাম তখন থেকে এখানে আসি। আগে এইসব ঘাট অন্ধকার ছিল। ঘাট বাঁধানো ছিল না। সেই ঘাট বাঁধানো হয়েছে। আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুজোর জন্য যেসব ব্যবস্থা করা প্রয়োজন তা করার চেষ্টা করেছি।  দুর্গাপুজো, ইদের মতো ছট পুজোও একটি বড় উত্সব। এই উপলক্ষ্যে ২ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গঙ্গা সাগরেও মানুষের সুবিধের জন্য অনেক কিছুই করা হয়েছে। মানুষের ভালো করার নামে জিনিসের দাম বাড়ানো নয়, নোটবন্দি নয়। আমাদের তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করতে হবে, মানুষকে বিনা পয়সায় চিকিত্সা দিতে হবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য মানুষকে খুশি দেখা। তাই ছট পুজোয় খুশি থাকুন। তাড়হুডে়া করবেন না।  দেবী মা আপনাদের ইচ্ছে পূরণ করুন।

উল্লেখ্য, রবীন্দ্র সরোবরকে একপ্রকার পুলিস দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। খাড়া করা হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড।  গতবার সরোবরে ঢোকার তালা ভেঙে ঢুকে পড়েন কিছু লোক। সেই পরিস্থিতি যেন ফের না হয় তার জন্য বিপুল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট বারোটা গেটেই পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকি কেউ যদি এখানে পুজো দিতে আসে তাহলে তাদের পুজোর জন্য নির্দিষ্ট ঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে।