স্বশুর বাড়িতে একমাত্র মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তার স্মৃতি ধরে রাখতে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় করে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা দুনম্বর ব্লকে আনুখালের বানিনাথপুর গ্রামে মন্দির বানালো বাবা,বিয়ের পর পারিবারিক অশান্তির জেরে ২০১২ সালে শ্বশুর বাড়ির লোক মেয়ে কে মেরে ফেলে বলে কালনা থানায় অভিযোগ করেন সঙ্গীতার আত্মীয় পরিজন,আজও এই মামলা বিচারাধীন রয়েছে কালনা আদালতে।পরিবার সূত্রে জানা যায় স্বাদ করে একমাত্র মেয়ে সংগীতা ঘোষের বিয়ে হয় কালনার আমলা পুকুর পাড়ার এক যুবকের সাথে,আজও এই মামলা বিচারাধীন রয়েছে কালনা আদালতে।সঠিক বিচারের অপেক্ষায় আজও সঙ্গীতার বাবা ও মা,যা নিয়ে চলছে আইনি পক্রিয়াও।নিজের মেয়েকে স্মৃতি কে ধরে রাখতে বাবা ও মা বানালো মেয়ের নামের মন্দির,সেখানে রয়েছে মেয়ের একটি স্বেত পাথরের মূর্তি, যা সকাল, বিকাল, সন্ধে বেলাতে মা পরম যত্নে আলতো ছোঁয়া দিয়ে মেয়ের মূর্তি মুছিয়ে দেয় মেয়ের সাজ ঠিক করেদেয়,আজও মেয়ের মন্দির সুন্দর করে গোছানো রয়েছে,মন্দিরের চারিদিকে মেয়ের ছবি দিয়ে মেয়ের স্মৃতিকে রক্ষা করে চলেছে বাবা-মা সহ তার গ্রামবাসীরা।গ্রামে এই একমাত্র শিব মন্দির যাকে ঘিরে মানুষের আস্থা ও ভরসা টিকে আছে,প্রতি বছর এই মন্দিরকে ঘিরে শিবরাত্রির দিনে মহা উৎসব হয়,এই উৎসবকে ঘিরে বেশ কয়েকটি গ্রাম অংশ নেয়, বাবা ও মায়ের মনে একটাই আশা মেয়ে মৃত্যুর সঠিক বিচার হবেই ও অভিযুক্ত শাস্তি পাবে,সেই অপেক্ষায় আজও সঙ্গীতার মা ও বাবা।